জিকে রউফ, নীলফামারী থেকে: নীলফামারী জেলা পরিষদের অর্থায়নে বৃদ্ধাশ্রম তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড মমতাজুল হক।
সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) সকালে কেবিসি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ৩৫ শতাংশ জমি ওই বৃদ্ধাশ্রমের নামে দান করার প্রস্তাব দিলে এ বৃদ্ধাশ্রমটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি৷ কেবিসি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে নীলফামারীর সদরে আমার ব্যক্তিগত ৩৫ শতাংশ জমির উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরীর ইচ্ছা ছিলো৷ কিন্তু সেটি পরিচালনার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন৷
তাই বিষয়টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড মমতাজুল হক ভাইকে প্রস্তাব দিলে, নীলফামারী জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে সেটি পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি৷ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি বাস্তবায়ন করবো”৷ জানতে চাইলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড মমতাজুল হক বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগনের জন্য কাজ করছেন৷ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ৷
গণমানুষের জন্য সার্বজনীন পেনশন বাস্তবায়ন এটি আরো একটি দৃষ্টান্ত উদাহরণ৷ আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জেলা পরিষদ এর নিজস্ব তহবিল থেকে এ অঞ্চলের মানুষকে আর্থিক অনুদান প্রদান করে আসছি৷ যেহেতু নীলফামারী সদরে কোন বৃদ্ধাশ্রম নেই, সেকারণে কেবিসি কনষ্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত ৩৫ শতাংশ জমির উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হিয়েছে৷ বৃদ্ধাশ্রমটি জেলা পরিষদ এর নিজস্ব তহবিল হতে পরিচালিত হবে”৷
তবে, নীলফামারী জেলা সদরে এই প্রথমবারের মত বৃদ্ধাশ্রম তৈরী ও পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড মমতাজুল হক৷ বৃদ্ধাশ্রমটি বাস্তবায়ন হলে শেষ বয়সে বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা খুজে পাবে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল৷ আর তাই এ অঞ্চলের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন তিনি৷