হাবিবুর বকশি বদরগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরের সড়কগুলোতে অবৈধভাবে ব্যাটারিচালিত অটো, অটোরিকশা-ভ্যানের দখলে।
পৌরসভার থেকে নির্ধারিত স্থান দিলেও মানছেন না অটো চালকরা। এতে করে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কোন নিয়ম কানুন ছাড়া সড়কে বেপরোয়া গতিতে প্রতিযোগীতা দিয়ে চলছে এসব ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি অটো রিকশা-ভ্যান গাড়ী। এসব গাড়ীর বেশীর ভাগ চালক কম বয়সি কিশোর ও অদক্ষ। চালকের কোনো প্রশিক্ষণ কিংবা লাইসেন্স নেই। অদক্ষ এসব চালকরা দেখেশুনে যানবাহন চালানো শিখলেও নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তাদের জানা নেই ট্রাফিক আইন কিংবা সড়কের নিয়ম-কানুন মানছেন না এসব চালকরা। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিরপরাধ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ন্যায্য ভাড়া পরিশোধ করে যাত্রী সাধারণ সড়কে চলাচল করলেও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণে যাত্রীরা প্রাণ দিতে হচ্ছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ চালক হওয়ায় সড়কে প্রতিযোগীতামুলভাবে গাড়ী চালাতে গিয়ে বেশীর ভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার সেলিম সরকার জানান, কিছুদিন আগে বদরগঞ্জ কথাকলি রোডে যাওয়ার সময় যে বাজারটি রয়েছে সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পরেন।
গোপাল চন্দ্র রায় জানান দুই মাস আগে মিতা সিনেমা রোড এলাকায় মোটরসাইকেল দিয়ে যাচ্ছিলাম আকস্মিক একটা অটো রিকশা আমাদের মোটরসাইকেলের সামনে চলে আসে সাথে সাথে আমার দুই জন মোটরসাইকেল থেকে পরে গিয়ে দুজনের হাতে ও পায়ে আঘাত পাই, বেশকিছুদিন ব্যথা থাকলে এখন অনেকটা সুস্থ। পুরাতন সোনালী ব্যাংক রোডের মামুন বলেন, এই রোড ত্রিমুখী রাস্তা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে একটি ভ্যানের মধ্যে ডিম ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছিল ভ্যান চালক। অটো রিক্সর সঙ্গে ঘর্ষণ লেগে সব ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে ডিমের মালিকের ক্ষতি হয় প্রায় ১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রায় প্রায় সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনা হয়ে আসছে।
এদিকে দেখা যায়, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আশপাশে ব্যাটারি চালিত অটো দখল করে রেখেছে। ব্যাটারি চালিত অটো দখলের কারণে রাস্তাটি অনেক ছোট হয়ে গেছে। প্রায় প্রায় সেখানে দুর্ঘটনাও হতে দেখা যায়। একই অবস্থা হক সাহেবের মোড়, ১২ নং রেল ঘুন্টি ১৩ নং রেল ঘুন্টি, কথাকলি সিনেমা হল রোড, মিতা সিনেমা রোড, স্টেশন রোড, থানা রোড, সিও রোড। বেশ কিছু অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বদরগঞ্জ পৌরসভা থেকে নির্ধারিত স্থানে গাড়ি রাখলে তাঁরা যাত্রী পান না। তাই বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে গাড়ি রাখেন। বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন এল এস ডি রোড হয়ে মিতা রোড দিয়ে স্কুলে যেতে রাস্তার দুই ধারে থাকা অটোর কারণে যানজটে আটকা পড়তে হয় ফলে প্রায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে একটু সময় লাগে বেশি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, এর আগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে।