ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল মর্যাদাপূর্ণ রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের গ্ল্যামারাস জীবনের পেছনে নারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও বর্ণবাদ প্রকাশের জন্য তারা এই পুরস্কার পান। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৬ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে এই দম্পতির পুরস্কার গ্রহণ করার কথা রয়েছে। গত বছরের মার্চে জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ্ উইনফ্রেকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে কয়েক শ বছরের পুরনো ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে অনেক অজানা ও অপ্রিয় কথা প্রকাশ করেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি ও মেগান।
ওই সাক্ষাৎকারে মেগান জানান, তিনি বাকিংহাম প্যালেসের ঠাট্টার শিকার হন। প্রাসাদ তার ছেলে আর্চির গাঢ় রঙের অনুমান থেকে শুরু করে, বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে কত ঘন ঘন বেরিয়েছিল তা সব কিছু নিয়েই ঠাট্টা করে।
এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দম্পতি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য ত্যাগ করেছিলেন এবং স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেছিলেন। হ্যারি-মেগানের পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী ক্যানি কেনেডি এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জানান, ব্রিটিশ রাজপরিবারের বর্ণবাদের গল্প বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য হ্যারি ও মেগানকে একটি মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
ক্যানি কেনেডি আরও জানান, হ্যারি ও মেগান যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে এসেছেন। তারা নির্দেশ করে যে রাজ পরিবার যুগ যুগ ধরে ভুল কাজ করেছে। তারা কাঠামোগত বর্ণবাদের মধ্যে থাকতে পারেন না।
এমনকি তারা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে বাঁচতে পারে না। তাদের যা করার ছিল তারা তাই করেছে। রাজপরিবারের ভেতরের অন্ধকারের কথা জানতে পেরেছে বিশ্ব।
এই পুরস্কারটি এমন ব্যক্তিদের সম্মানিত করে যারা বিশ্বজুড়ে সাম্য প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই বছর হ্যারি ও মেগান ছাড়াও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় বিল রাসেল এই পুরস্কার পেয়েছেন।