স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ মাহাবুব আলম তুষার: গৃহিণী মাহমুদা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যোতি (১৯) ও তার প্রেমিকা শফিউর রহমান নাঈমের (২৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের ২ সহযোগির মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ৮ নভেম্বর (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টায় আসামীগণের উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এই রায় দেন। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারী মানিকগঞ্জ জেলা শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকার মাহামুদা আক্তার নিজবাড়িতে খুন হন।এই ঘটনায় নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়ে সহ মোট ৫ জনকে আসামী করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। স্ত্রী’কে হত্যার অভিযোগে স্বামীর দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন,ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ জিন্দাপীড় এলাকার মোঃ শফিউর রহমান নাঈম (২৫), একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৪), অভিযোগকারীর কন্যা জুলেখা আক্তার জ্যোতি (১৯), নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পূর্ব গোলমন্ডা এলাকার মোঃ মাহফুজার রহমান (২০) এবং একই এলাকার আব্দুল ভাসানীর ছেলে নুর বক্স। এই মামলায় মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই মো: শামীম আল মামুন ২০২০ সালের ৩১ মে সংশ্লিষ্ট আদালতে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার দায়ে ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।আসামী মাহাফুজার রহমান, শফিউর রহমান নাঈম, মোঃ রাকিব ও জুলেখা আক্তার জ্যোতি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।মেয়ে জ্যোতির সাথে নাঈমের প্রেমে বাধা দেওয়ায় পরিকল্পনা করে মাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদাণ করেন।পরে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এই রায় দেন।
এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোস প্রকাশ করলেও এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বামী ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, মাকে খুন করার পরিকল্পনা করে মেয়ে আর তার প্রেমিকা।তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু তাদের দুইসহযোগিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। এটা হতে পারে না। তিনি তাঁর মেয়ে ও প্রেমিকার মৃত্যুদন্ডের দাবীতে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান।