নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ (শনিবার) ১১ মার্চ, উপমহাদেশর প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা থেকে চার চারবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, সায়েরা-সাফায়েত স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ’র ২য় মৃত্যু বার্ষিকী।
এ উপলক্ষে ডা. আমান উল্লাহ’র ছেলে ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহ জানান, ১১ মার্চ ময়মনসিংহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা থাকায় অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ’র স্মরণে, স্মরণ সভা করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। পারিবারিক ভাবে গ্রামের বাড়ী উপজেলার মাহমুদপুরে কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সনে তিনি ভালুকা থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং ঐ বছরই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর টানা চার বার তিনি ভালুকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সনে ডা. এম আমান উল্লাহ’র ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে দেশের প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের আধুনিকায়নেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডা. এম আমান উল্লাহ নিজ গ্রাম মাহমুদপুরে বাবা-মায়ের নামে সায়েরা-সাফায়েত স্কুল এন্ড কলেজ সহ ভালুকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বর্পণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও এলাকার অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে আর্থিক ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেন তিনি। অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ ও তাঁর সহধর্মীনি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদা আক্তার গরিব- অস্বচ্ছল মানুষ সহ ভালুকাবসীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের একমাত্র ছেলে ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহও ভালুকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।