বদরগঞ্জ প্রতিনিধি, হাবিবুর রহমান বকশী:
তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্কুল বন্ধের দাবি জানিয়েছিল ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’। তাদের সঙ্গে অধিকাংশ অভিভাবক একমত হন এবং দাবি জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে সরকার রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
সেই ছুটি শেষ হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। তাপপ্রবাহ চললেও এবার আর ছুটি বাড়ানোর পক্ষে নয় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। তারা ছুটি না বাড়িয়ে বরং অনলাইনে ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রিয়া সম্পাদক এমদাদুল হক এক বিবৃতিতে এ দাবি তুলে ধরেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭ দিনের জন্য বন্ধের দাবি জানিয়েছিল অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে আরও বলা হয়, কোথাও কোথাও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এখনো বয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। এ অবস্থায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানাচ্ছে। এতে বন্ধের সময়ে শিক্ষার যে ঘাটতি, তা পূরণে অনেকটা সহায়ক হবে। এদিকে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের এমন দাবির সঙ্গে অনেক অভিভাবক একমত। কেউ কেউ আবার দ্বিমত পোষণও করেছেন।
বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ কলেজের মূল শাখার একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর বাবা আহমেদ পারভেজ তাপপ্রবাহ চলমান থাকলে আরও কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের ক্ষতি হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছি। অনলাইন ক্লাসে সেই ক্ষতি পোষানোর চেয়ে আরও জগাখিচুড়ি বেশি হবে বলে মনে করি। ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শাখায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা আঞ্জুমান আরা।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, বাচ্চাদের এভাবে বসিয়ে না রেখে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায়। সেই কবে ছুটি হয়েছে। স্কুলই খুলছে না। ওরা পড়ালেখায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ অন্তত অনলাইনের ক্লাস চালু রাখেন।