মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত, গ্রেফতার ১ ভালুকায় ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু বদরগঞ্জে প্রাইভেট শিক্ষককে মারধর, ব্ল্যাকমেইল অতঃপর চাঁদা দাবি নরসিংদীতে হযরত মোঃ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী রাকিবুল গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় তিন দিন ব্যাপী অষ্টোপ্রহর শেষে লালন আখড়া ছাড়ছেন সাধু ভক্তরা দীর্ঘ ১৭ বছর পরে শারিকখালীতে জামায়াতে ইসলামীর ওপেন সহযোগী সদস্য ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত নরসিংদীর মাধবদী পুরান চর বাজারে কনফেকশনারি দোকান লুট নরসিংদীর শিবপুরে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক ছিনতাই বদরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু গৃহবধূর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; স্বামী পলাতক

দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল

Reporter Name / ২৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল

আবুনাঈমরিপন: নরসিংদী জেলা পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প ও ভাউচার এর নামে টাকা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এবং দূর্নীতিবাজ ও লুটতরাজ বাজদের পক্ষে সায় না দেওয়ায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর জমিদার বংশের উত্তরসূরী ও জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা
স্বেচ্ছাচারিতা,নানা অনিয়ম ও সদস্যদের প্রতি অবমুল্যায়নের অভিযোগ এনে অনাস্থা গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবর, ৩শত টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত আবেদন করেছেন ।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২৮ নভেম্বর জেলা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। দায়িত্বভার গ্রহন কালে ততকালীন জেলা পরিষদ এর নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে আসে। ঐ সিও এক ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সহ ভুয়া অনুদান দেওয়া, কবরস্থান ও মসজিদ-মন্দিরের বরাদ্দে অনিয়ম, ভুয়া বিল-ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ সহ নতুন প্রকল্পের অনুমোদন আনতে অগ্রিম টাকা গ্রহণ ও আপ্যায়নের নামে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করার অভিযোগ ওঠে আসে। জেলা পরিষদকে দুর্নীতি ও হরিলুট বন্ধ করতে আমি ওই সিওর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করি। পরে ২০২৩ সালের ৩ মে স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক শিবির বিচিত্র বড়ুয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সিও মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ,তদন্ত কমিটির সুপারিশে এই সিও কে নরসিংদী জেলা পরিষদ থেকে অপসারণ করে অন্যত্র বদলী করা হয়। আমি জেলা পরিষদকে দুর্নীতি, লুটতরাজবাজদের , হাত হতে অনিয়ম বন্ধ করে জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। পরিষদের কিছু বিপদ গামী সদস্য আমাকে বোকা বানিয়ে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প ও অনুদানের নামে টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়ে ছিলো। কিন্তু আমি তাদের এসব অনিয়মে সায় না দেওয়ায় তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে তিনি জানান। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে স্বাক্ষর করা ৮ জন সদস্যের মধ্যে আমানউল্লাহ কোনো স্বাক্ষর করেননি বলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান। তিনি আরও জানান, আমি কোনো স্বাক্ষর করিনি। এটা আমার স্বাক্ষর না। এবিষয়ে আরও জানা যায়, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তামান্না কিছু সদস্যকে ভূল বুঝিয়ে মনোহরদীর প্রভাবশালী এক নেতার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে এ কাজ করেন।চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া একজন সৎ আদর্শ ও নীতিবান মানুষ। তিনি নীতিবান ও আদর্শে আপোষহীন। অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার। তার পক্ষে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা অসম্ভব। যারা অভিযোগ করেছেন, তারা মনে হয় কোথাও যেন ভূল করছেন। জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান দুর্নীতি করবে বা দুর্নীতিতে জড়ানো সম্ভব না। আগে জেলা পরিষদ থেকে ভুয়া ও মিথ্যা প্রকল্পের নামে কাজ না করে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হতো। এখন তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর আগের মত টাকা আত্মসাৎ করতে পারে না বিধায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এটা রহস্যজনক ও হাস্যকর। আগের তুলনায় বর্তমানে জেলা পরিষদ অনেকটা দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত।

কে এই জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান?
আলহাজ্ব মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া ১৯৭৫ সালে নরসিংদী জেলার বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন এর আমিরগঞ্জ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও জমিদার বাড়ি এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত সাফি উদ্দিন ও মাতা সুলতানা রাজিয়া (ঝড়না)। ছাত্রজীবন শুরু হয় করিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। তিনি বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বি এস এস এবং এম এস এস ডিগ্রি লাভ করেন। কর্ম জীবনে তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অর্থে মসজিদ ,মাদ্রাসা, এতিমখানা ,কবরস্থান ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত বিভিন্ন সংগঠন , ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন ।

তিনি জমিদার বাড়ির কৃতি সন্তান বলে সাহায্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত ছিল সর্বসময়। মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়ভিত্তিক নরসিংদী গঠনে অবদান রাখার লক্ষ্যে ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল লড়াই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে অর্থ্যাৎ ২০১৪ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীরপ্রতীক) এমপির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি সরকারি ও বেসরকারি প্রয়োজনে ভারত, সিঙ্গাপুর ,ইন্দোনেশিয়া, সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। পরে তিনি তার সততা ও ন্যায়-নীতির মধ্যদিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগে এর সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়াকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।


এই ক্যাটাগরি আরও পড়ুন

তারিখ অনুসারে পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর