মোঃ আল-আমিন: সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা বানোয়াট ও অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে জানাযায় জনৈক তরিফ উল্লাহ গত ২২-০৪-২০১৮ ইং তারিখে ৩৩২৮ নং দলিল মূলে সাইফুল ইসলামের কাছে ১১ একর ৩২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন, দীর্ঘদিন ভোগদখল থাকাবস্তায় ০৫/০৭/২২ইং তারিখে ৪৯১০ ও ৪৮৯৬ নং দলিলে ০২ একর ৩২ শতাংশ জমি সাইফুল ইসলাম বিক্রি করে দেন আলহাজ্ব শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান মুরাদের কাছে। তারপর ও পুনরায় তরিফ উল্লাহ ওই জমির উপর মামলা নং ২০/২৪ অন্যপ্রকার মামলা দায়ের করেন। সে মোতাবেক আদালত তরিফ উল্লাহর পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীকরেন, পরবর্তীতে আদালত সর্বসাকুল্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তরিফ উল্লাহর পক্ষের ওই আদেশটি বাতিল করে দেন। এতেই প্রমানিত হয় যে তরিফ উল্লাহর সাথে হাজ্বী শহিদুল ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
স্থানীয় কাজল মিয়া জানান তরিফ উল্লাহ উশৃংখল ও প্রতারক প্রকৃতির মানুষ, সে একই জমি একাধিক ব্যাক্তির নিকট বিক্রি করেছেন। হাজ্বী শহিদুল ইসলাম তরীবুল্লাহর নিকট হইতে কোন জমি ক্রয় করেনি।
তবে এ খবরকে মিথ্যা বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত দাবি করেছেন শহিদুল ইসলাম। অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল, যুবদল ও ভালুকা উপজেলায় বিভিন্ন স্তরে বিএনপির দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে, ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৯০ দশক থেকে, স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন, তিনি বলেন আমার পিতা দির্ঘদিন বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এছাড়াও আমার ছেলে এবং আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সক্রিয় ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত, আমার তিন প্রজন্ম বিএনপির সাথে জড়িত। এছাড়াও আমি এবং আমার পরিবার বিগত তিন দশক যাবৎ বিভিন্ন বৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, দলের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ভালুকা উপজেলা সহ বিভিন্ন থানায় তার নামে ১৫/২০টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে এবং এসব মামলার কারনে ৩/৪ বার তিনি কারাভোগ করেছেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য একটি মহল সংবাদে আমাকে জড়িয়ে মনগড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত গল্পকাহিনি ও মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করেছে। গত ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর থেকে কিছু দলীয় পদধারী চাঁদাবাজ আমার ইউনিয়নে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজি হুমকি দিয়ে ফ্যাক্টরীর সামনে সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দিচ্ছিলো যাহার ভিডিও ফুটেজ আছে। দলীয় সিদ্ধান্ত চাঁদাবাজ এর বিরুদ্ধে থাকায় এবং শিল্প মালিকদের অনুরোধে, আমি চাঁদাবাজদের কোন প্রকার সহযোগীতা না করায় এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের কারনে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সামাজিক মাধ্যমে ভিত্তিহীন ভিডিও ছড়াচ্ছে।
জনৈক তরিফ উল্লাহর সাথে তার কোন প্রকার জামেলা নাই, তার রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষ তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে যোগসাজশে তার বিরুদ্ধে অসত্য, ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপশি সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যাচাই করে সত্য ঘটনা উদঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করুন, অসত্য সংবাদ প্রচার নিঃসন্দেহে মানহানিকর। দেশ নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্টনায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভালুকাকে চাঁদাবাজ মুক্ত করার জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।