আবুনাঈমরিপন: নরসিংদী শিবপুর উপজেলা পুটিয়া ইউনিয়ন এর সৈয়দ নগর আতোয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ দুর্নীতি , অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারিগর । বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলছে অনিয়ম, লুটপাট , প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বাণিজ্যের অভিযোগ । যাহা কখনো কল্পনা করাও হত না। সৈয়দ নগর আতোয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যান্য শিক্ষকরা সহ ১২ পৃষ্ঠা অভিযোগপত্র শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ সজীব এর নিকট দায়ের করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে, এরই পরিপেক্ষিতে অদ্য ৩০ শে সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে সৈয়দ নগর আতাউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা আন্দোলনে ডাক দেন। শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক,সাধারণ জনতা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করে ,মহা সড়ক অবরোধ করে রাখেন । খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা গন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও আন্দোলন থেমে থাকেনি ।
খবর পেয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ সজিব ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন আন্দোলনকারীদের আবেদনের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে , তদন্ত প্রতিবেদন পাইলে আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিব। চলমান আন্দোলন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছেন সেনা বাহিনী,পুলিশ,ডিবি,ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা!পরিস্থিতি থমথমে!শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চাই। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদানের পরিবর্তনে উঠছে লুটপাটের অভিযোগ। বিভিন্ন স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের উপর ও রয়েছে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট প্রাইভেট কোচিং না পরিলে পরীক্ষা ফেল করানোসহ বিভিন্ন অজুহাতের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এমতাবস্থায় আন্দোলনকারী অভিভাবক ও জনসাধারণের দাবি এমপিও ভুক্ত সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ না করলে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল্যায়ন করা যাবে না। সেজন্য অভিভাবকদের দাবি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ না করলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন আমি সব একাই ভোগ করেছি ,গভর্নিং বডির সভাপতি কেরানির মাধ্যমে তারা আমাকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যাহা সম্মানি দিয়েছে তার কিছু অর্থ আমি পেয়েছি।