বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে সাবেক স্বামীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মোসাঃ মাহিরা খাতুন (২৮) নামের এক নারী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নিয়ম মেনে তালাক দিয়েও সাবেক স্ত্রীর হয়রানি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না মোঃ মিজানুর রহমান নামের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
হয়রানির শিকার মোঃ মিজানুর রহমান ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মৃত মোঃ বুরজুক আলী খানের ছেলে। অভিযুক্ত মোসাঃ মাহিরা খাতুন বাগেরহাটের ফকিরহাটের জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা এলাকার আহাদ আলী শেখের মেয়ে।
হয়রানির শিকার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু ২০২৩ সালের প্রথম দিকে আমার স্ত্রী আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলা শুরু করে। এসব সমসম্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং শান্তিতে বসবাসের জন্য চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করি। তালাকের নোটিশ পেয়ে ১১ জুন আমার স্ত্রী ও তার বাবা আহাদ আলী শেখ আমাদের বাড়িতে আসে। জোর করে ঘরে ঢুকে দুইটি স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া স্বর্ণের রুলি ও নগদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এবিষয় নিয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই মামলা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমাকেসহ আমার ৫জন নিটক আত্মীয়কে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দেয় আমার সাবেক স্ত্রী। ওই মামলায় আমার সাবেক স্ত্রী মোসাঃ মাহিরা খাতুন উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে তার বাড়িতে মীশাংসার পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুণ-অল রশীদের উপস্থিতে তাকে কালো মাইক্রোতে করে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে এবং গাড়ির মধ্যে বসেই তাকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে নলছিটি বা ঝালকাঠির কোন স্থানে মৃত ভেবে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আসলে আমার দেওয়া মামলা থেকে রক্ষা ও আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়েছে। ওই বাড়িতে কোন মীমাংসা হয়নি। আমরা তাকে গাড়িতে করে ঝালকাঠি নেওয়ার চেষ্টাও করিনি।
হয়রানির বিষয়ে মোসাঃ মাহিরা খাতুনকে ফোন করা হলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে মামলার বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে লখপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুণ-অল রশীদ বলেন, মাহিরার বাড়িতে কোন শালীস বৈঠকে আমি ছিলাম না। স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের বিষয়টি শুধু মৌখিকভাবে জানতাম।