ময়মনসিংহের ভালুকায় চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত সূর্য্যত আলী খানের ছেলে চাচা মোঃ সাইফুল ইসলামের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহকে
মুতাওয়াল্লি করে তার দাদী মাদ্রাসা নির্মাণ করার জন্য ১৪ শতাংশ জমি (ওয়াকফ) দান করেন। আর এই জমি তারই আপন চাচা মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ওই জমিটি শরিফুল ইসলাম (শারিফ) নামে একজনের কাছে ফেরত কাবলা (বন্ধক) দিয়ে রেখেছেন। মুতাওয়াল্লি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন আমি মাদ্রাসা নির্মাণ করতে চাইলে আমাকে বাঁধা ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক ও এলাকার লোকজন নিয়ে শালিশ করা হলে শালিশে জমি বুঝিয়ে দিবে বলে স্বীকার করে কিন্তু পরবর্তীতে দেয়নি। অপরদিকে মোঃ সাইফুল ইসলাম চাকরিজীবি ও শিক্ষিত হওয়ায় মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহর পিতা মোঃ রফিকুল ইসলামের অংশের জমি বিক্রির নগদ টাকা তার একাউন্টে দেয়। পরে টাকা চাইলে ওই টাকা দিতেও অস্বীকৃতি জানায়। টাকা দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে দিনক্ষেপণ করছে। এহেন কান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসী তিব্র নিন্দা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সাইফুল ইসলাম খুব প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য করতে পারেনা, শুধু মাদ্রাসার জায়গা না আরও অনেক জবরদখলের অভিযোগ আছে তার নামে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার জায়গা আমার দখলে আছে, আমি শীগ্রই বুঝিয়ে দিবো। তবে রফিকুল ইসলাম যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা সে আমার কাছে কোন টাকা পাবেনা।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।