ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। এতে নানা রকম ভোগান্তি সহ সরকারি হাসপাতালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ, লাভমান হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিকরা, কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের। কমপ্লেক্সে কর্মরত সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রবিউল প্রাইভেট ক্লিনিকে বসে নিজেই করেন আল্ট্রাসনোগ্রাম।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে প্রধান ফটক, জরুরি বিভাগসহ একাধিক স্থানে ওতপেতে আছেন স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকদের ‘নিয়োজিত’ দালাল। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কৌশলে স্থান ত্যাগ করেন তারা। আবার কেউ কেউ সেজে যান রোগী বা রোগীর স্বজন। একাধিক রোগিদের স্বজন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে পরিক্ষা-নিরিক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও দালালদের খপ্পরে পড়ে সেবা নিতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অভিযোগ আছে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে রোগী দেখার চেয়ে নিজস্ব অথবা চুক্তিবদ্ধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার প্রতি আগ্রহ বেশি। এমনই একজন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট রবিউল। রবিউলের নামে একাধিক ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে কেউ আসলে রবিউলের খপ্পরে পড়লেই তাকে পাঠিয়ে দেন তার নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আর রোগির পিছন পিছন ওই মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গিয়ে নিজেই করেন আল্ট্রসনোগ্রাম। এরকম জটিল পরিক্ষা সাব-মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কিভাবে করে প্রশ্ন রোগীর স্বজনদের? এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত রবিউল।
তবে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসানুল হোসাইন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, হাসপাতালে তিনি জয়েন করার পর আগের তুলনায় সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে হাসপাতালেই বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করছেন। যা এই হাসপাতালে পেতেন না রোগীরা। আর এই উপজেলায় বসবাসরত মানুষের তুলনায় হাসপাতালে যা বরাদ্দ আসে তা যথেষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।