
৪আগষ্ট বৈষম্যরিরোধী ছাত্রজনতা আনন্দোলনে ময়মনসিংহের ভালুকায় দিনমজুর প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী মোঃ মামুন মিয়া ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া নওপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই মোঃ ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মডেল থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানা যায়, নিখোঁজ মামুন নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাওকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপিত সে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে স্থানীয় নোমান কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত দশটায় অফিস ছুটি হলেও মামুন এখনো বাসায় ফেরেনি। এঘটনায় মামুনের পরিবারের সবাই আতংকে রয়েছে। মামুনের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় কারখানা ছুটি হয় মামুন আর বাসায় ফিরেনি। তাকে অনেক খোঁজখোজি করেছি কোথাও পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরী করা হয়েছে। দুইদিন হয়ে গেল মামুনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মামুন নিখোঁজ হওয়ায় আমরা শংকায় রয়েছি। উল্লেখ্য গত ৪ আগষ্ট বিকালে পার্শ্ববর্তী উপজেলার শ্রীপুর জৈনাবাজার থেকে বৈষম্যরিরোধী ছাত্রজনতা আনন্দোলনের একটি মিছিল ভালুকার মাস্টারবাড়ীতে আসে। ওই মিছিলে মামুন ছিল। সন্ধার পর পর মিছিলটি মাস্টারবাড়ীর রহিম মার্কেট কাচাঁ বাজারের সামনে গেলে আ’লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রজনতার মিছিলের উপর হামলা চালায়। আনন্দোলনকারী দিনমজুর তোফাজ্জল হোসেনকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আনন্দোলনকারী মামুনসহ আরো কয়েকজন সহকর্মী আহত তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করে, পার্শ্ববর্তী শ্রীপর উপজেলার সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। নিহত তোফাজ্জল হোসেন হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। নিখোঁজ মামুন তোফাজ্জল হত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী ছিল। হোফাজ্জল হোসেন কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। ভালুকা মডেল থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জানান, মামুন নিখোঁজের ঘটনায় তার বড় ভাই একটি জিডি করেছেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।
Like this:
Like Loading...
Related