ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানা কর্তৃপক্ষে অবহেলায় ওবায়দুল শেখ নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত সহ আট দফা দাবিতে তিন ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার পীএনীট কম্পোজিট লিমিটেড এর শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
নিহত ওবায়দুল মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ধুপুরিয়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে। তিনি কাটিং সেকশনের ইনচার্জ হিসেবে কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
শ্রমিকরা জানায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে ওবায়দুল অসুস্থ হয়ে কারখানার মেডিকেলে আসন, এখানে চিকিৎসা না দিয়ে অটোরিকশা যোগে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন, পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওবায়দুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অসন্তোষ শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন,
‘কারখানায় কয়েকটি প্রাইভেট কার থাকা সত্ত্বেও অটোরিকশা যোগে কেন রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হলো?’ এ ঘটনায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে কারখানার ভিতরে হট্টগোল শুরু করে, পরে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত সহ আট দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর ল্যান মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় দুইপাশে প্রায় বিশ কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যাত্রীরা। পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এডমিন জিএম রুমি।
শিল্প পুলিশ-৫ ময়মনসিংহ এর পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আট দফা দাবির মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।