আবুনাঈমরিপন : ২৯ আগসট আইনশৃঙ্খলা সভায় কঠোর নির্দেশনা দিলেন এমপি। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মধ্যে দুলালপুর ইউনিয়ন একটি ঝুকিপূর্ণ রেড জোন এলাকা হিসেবে পরিচিত, সচেতন মহলের দৃষ্টিতে দুলালপুর রাত্রে ঘুমানো বিপদজনক।
যেকোন সময় ভূমি ধস হতে পারে শুধুমা এ বালু উত্তোলনের কারনে। উপজেলার আশ পাশের ইউনিয়ন গুলোও ঝুকির মধ্যে রয়েছে। নদীর বুকে মিশে যেতে পারে মুহুর্তেই! তবু হুশ নেই সচেতন মহলের! কিন্তু কারা এই বালু খেকো! কারা প্রশ্রয়দাতা! জোগানদাতা! এরা এক অদৃশ্য চোরা বালির মত । বালু উত্তোলনের পাশাপাশি এরা জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করেন, বলে সূত্র মতে জানা যায়। প্রতি মাসে আইন_শৃঙ্খলার কমিটির সভায় বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, বালু খেকোদের মেশিনসহ গ্রেফতার ও কোটে চালান দেওয়া সহ কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পর পুড়ে ফেলা হচ্ছে মেশিন।তবুও বালু উওোলন বন্ধ হচ্ছে না! সদ্য বি এন পি থেকে আসা বর্তমান দুলালপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল গংরা বেপরোয়া গতিতে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে ওঠেছেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নাজমুল গং। কে এই নাজমুল! তার খুঁটির জোর কোথায়! জনসাধারণ জানতে চায়! ৩০ আগষ্ট বুধবার সূএমতে জানা যায়, গভীর রাতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে! কিন্তু দুঃখের বিষয়, হলো গতকাল ২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদের আইন_শৃঙ্খলা কমিটির সভায় দুলালপুরের বালু উত্তোলনের জন্য রেড জোন হিসেবে কঠোর নিষেধারোপ জারি করেন এমপি মোহন। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নিদের্শনা থাকলেও এমপির কথা অমান্য করে নাজমুল গং রা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী সহ ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য, দুলালপুর ও মাছিমপুর ইউনিয়নে ১০০ থেকে ১৫০ টি বালু উওোলনের পুকুর আছে। দীর্ঘদিন বালু উওোলনের কারনে ছোট বড়ো পুকুর গুলো ৮০ ফুট থেকে ১০০ ফুট গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আশেপাশের ফসলী জমি, বসতভিটা সহ বালু উওোলনকৃত পুকুরে বিলীন হচ্ছে। নামমাএ মূল্যে প্রৈএিক জমি বালু খেকোদের কাছে বেচে দিয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অচিরেই এই ভুমিখেকোদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান, ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।