মোঃ সুমন হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বৈষম্য দূরীকরন ও কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রনালয় সহ দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষক মিলনায়দৃতনে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বঞ্চনা ও দাবি তুলে ধরেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে সমিতির জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ড.জিল্লুর রহমান জানান, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এ পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। এ পেশাকে গ্রাস করছে অদক্ষ অপেশাদাররা কর্মকর্তারা।
তাই জরুরিভাবে প্রয়োজন একটি দক্ষ,যুগোপযোগী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা। শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে উপজেলা, জেলা, অঞ্চলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর ও প্রকল্পসমূহ পরিচালনায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ সময়ের দাবি। শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ শিক্ষকরা জানায়, প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তর সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নবম গ্রেডের উপরে সকল পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা বাদে অন্য কারও পদায়নের সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভুতদের অপসারণের দাবী জনিয়েছি কিন্তু সেটি করা হয়নি। এটি সুস্পষ্টতই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত। আমরা এসকল কর্মকাণ্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামীল। শিক্ষকরা জানায়, শিক্ষা ক্যাডারকে শূন্য পদের অজুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রী সকল ক্যাডারের জন্য সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের মনির্দেশনা দিলেও তা পালিত হয়নি। বেতন স্কেল অনুযায়ী ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্য কর্মকর্তাগণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ১ বছর পূর্বে। কিন্তু এ বিষয়েও কোনো অগ্রগতি নেই। অন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পান। কিন্তু শিক্ষা ক্যডারে সর্বোচ্চ পদ অধ্যাপক পদটি চতুর্থ গ্রেড হওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ নেই। চতুর্থ গ্রেডেই আটকে থাকছেন। অধ্যাপক পদটি তৃতীয় প্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও ২য় গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন পদসমূহের মধ্যে ৪২৯টি পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
শিক্ষকনেতারা অভিযোগ করেন, গাড়ি নহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্যাডারকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি পূরনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সাথে যোগসূত্র তৈরির ক্ষেত্রে মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে আমলারা। দাবি আদায় আগামী ২অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে। এবং ন্যায্য দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালনের ঘোষনা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলের, বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি মুন্সীগঞ্জের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র হিরা, যুগ্ম মহাসচিব মো:নাজির হোসেন সহ সমিতির নেতৃবৃন্দ।