মোঃ সুমন হোসেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের আবারো সক্রিয় হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্র। তারা শুধু অটোরিকশা ছিনতাই করছে না, হত্যা করছে চালককে।এতে করে চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে জেলার অটোরিকশা চালকদের মধ্যে।একদিনে দুই অটোচালকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চালকদের মধ্যে আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে।
আজ সোমবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার দুই উপজেলার পৃৃথকস্থান থেকে দুই অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে নেকবর হোসেনের (২২) মরদেহ সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলদিয়ার তিন দোকান এলাকার একটি পুকুর থেকে রশি পেচানো অবস্থায় মোস্তাফা (১৮) নামের যুবককের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত নেকবর সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সাজা মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বালুচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো:ওয়াসিম আহমেদ জানান,রবিবার বিকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন নেকবর। স্বজনরা রাতে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। সোমবার সকালে গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে মরদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে হত্যা করে অটো ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অন্যদিকে, লৌহজংয়ে তিন দোকানে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ মোস্তফা (১৮) লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল মাদবরের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে মোস্তফা সবার ছোট। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রবিবারও অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেননি মোস্তফা। ধারণা করা হচ্ছে,মোস্তফাকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটি হত্যাকাণ্ড।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হঠাৎ করে জেলায় আবারো অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সাথে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অটোরিকশা চালকরা। জেলা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদারে দাবি চালকদের।
