ফ্রান্সে অভাব-অনটন ও দারিদ্র্য বাড়ছে। দেশটির ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য নিয়ে বিভিন্ন শঙ্কার কথা জানিয়েছে একটি এনজিও। বৃহস্পতিবার এ বেসরকারি ত্রাণ সংস্থাটি জানিয়েছে যে ফ্রান্সে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
ক্যাথলিক রিলিফ নামের একটি এনজিও তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্রান্সে ২০২১ সালে এ সংস্থার কাছে যারা সাহায্য চেয়েছিল তাদের ৪৮ শতাংশ পরিবার এতই গরিব ছিলো যে তাদের নিজেদের খাওয়ার মতো কোনো অর্থ বা বাজেট ছিলো না।
বিভিন্ন বিল পরিশোধ ও অনিবার্য খরচ চালানোর পর প্রতি দুই পরিবারের একজনের কাছে মাস শেষ করার জন্য ৩০৫.২ মার্কিন ডলার অর্থ ছিলো। এটা ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য জনপ্রতি প্রতিদিন ৫.১৭ মার্কিন ডলার অর্থের নিশ্চয়তা দিচ্ছিল। অথচ এ সংস্থাটি বলছে যে ফ্রান্সে একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অন্তত ৭.২৪ মার্কিন ডলারের খাদ্য দরকার।
বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা ক্যাথলিক রিলিফের কাছে যারা সাহায্য নিচ্ছে তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নতুন। এরা আগে অভাবগ্রস্ত ছিলো না। ২০২২ সালের জ্বালানি সংকট এবং বিভিন্ন পণ্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ এনজিওটির শঙ্কা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
লা ডেপেচে সংবাদপত্রের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্যাথলিক রিলিফের সভাপতি ভেরোনিক ডেভিস বলেন, ‘এ গরিব পরিবারগুলো ইতোমধ্যে তাদের বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ব্যবহার কমাতে অনেক কিছু করছে। কিন্তু আগামী বছর যদি জ্বালানির দাম ১৫ শতাংশ বাড়ে তখন তারা কীভাবে তাদের জীবন চালাবে?
এ সমস্যা সমাধানের জন্য এ এনজিওটি বলেছে, ফ্রান্সের মানুষের গড় আয়ের ৪০ শতাংশ অনুসারে ন্যূনতম সামাজিক সুবিধাগুলো বাড়াতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে এ বিষয়টির সামঞ্জস্য করতে হবে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক