বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নরসিংদীর শিবপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস পালিত পত্নীতলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন “জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই ” জনসচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত পূর্ব বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত, গ্রেফতার ১ ভালুকায় ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু বদরগঞ্জে প্রাইভেট শিক্ষককে মারধর, ব্ল্যাকমেইল অতঃপর চাঁদা দাবি নরসিংদীতে হযরত মোঃ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী রাকিবুল গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় তিন দিন ব্যাপী অষ্টোপ্রহর শেষে লালন আখড়া ছাড়ছেন সাধু ভক্তরা দীর্ঘ ১৭ বছর পরে শারিকখালীতে জামায়াতে ইসলামীর ওপেন সহযোগী সদস্য ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত নরসিংদীর মাধবদী পুরান চর বাজারে কনফেকশনারি দোকান লুট

ভেঙে গেছে সেতু পারাপারে জনদুর্ভোগ

Reporter Name / ৩০ Time View
Update : বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারীঃ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহারা গ্রামের বাঁশেরপুলের কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে লাখো মানুষ। শুকনো মৌসুমে হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল ব্যবহার করে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এদিকে কালভার্ট ব্যবহার করতে না পারায় মালামাল নিয়ে চলাচলকারী ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে উঠতে হচ্ছে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে। এছাড়া দেবে যাওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।
এই পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাক তিনি সাংবাদিককে বলেন, খালি ভ্যান নিয়ে কালভার্টের ওপর দিয়ে আসাও কষ্টকর। এমনভাবে দেবে গেছে ভ্যান নামালে উল্টে পড়ার উপক্রম হয়। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে অন্যের সহায়তা নিয়ে ভ্যান উঠাতে হয়। বর্ষাকালে তো কালভার্টটি হাটু পানি দিয়ে পার হতে হয়। যাত্রায়াতে খুব কষ্ট হয়।
হরিন চড়া ইউনিয়নের হরিহরা এলাকার বাসিন্দা আলম হোসেন বলেন, নদী খননের কারণে নিচের বালু সরে গিয়ে কালভার্টটি ভেঙ্গে গিয়ে দেবে যায়। হেঁটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। সামনে বর্ষার আগে যাতে কালভার্টটি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শুনিল দাস বলেন, এখান থেকে কিছুটা দূরে স্কুল রয়েছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে পারে না। মালামাল নিয়ে ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে হরিণচড়া বাজারে যাতায়াতকারীদের যেন বিড়ম্বনার শেষ নেই।
সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রী মোছাম্মাদ আশা মনি বলেন, প্রতিদিন আমরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। বর্ষাকালে কালভার্টের উপরে পানি থাকে যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর হয়। আমরা অনেক সময় অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করি।
স্থানীয়রা জানায়, কালভার্টটি কলমদার নদীর ওপর অবস্থিত। সম্প্রতি নদী খনন করায় পানিতে স্রোত বৃদ্ধি পায়। নদীতে পানি বাড়ার ফলে কালভার্টটি দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে এটি চলাচলের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। মালামাল আনা-নেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে মালামাল নিয়ে আসা হলেও কালভার্ট পার হতে গিয়ে ভ্যান উল্টে যায়। দ্রুত এটি সংস্কার কিংবা নতুনভাবে তৈরি করা দরকার।
উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত মাসে আমরা কালভার্টটির মাঠি ও জায়গা নির্ধারণ করেছি খুব দ্রুত সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্য কলন্দর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্ট নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।


এই ক্যাটাগরি আরও পড়ুন

তারিখ অনুসারে পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর