মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে যারা জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তারাই গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠী বিএনপি-জামাত অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।
রবিবার মুন্সীগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে স্বেচ্ছাসেবকলীগ,কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ,যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজনে বিএনপি- জামাত অপশক্তির তথাকথিত অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা,নৈরাজ্য ও ধ্বংসত্মক রাজনীতির প্রতিবাধে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এমপি আরও বলেন, লাগাতারভাবে গণবিরোধী অবস্থান,অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।সময়ের সাথে সাথে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী সচেতন জনগণ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি- জামাতের ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসে ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। ৩ হাজার ৮০০ যানবাহন, ৫ শতাধিক স্কুল, ভূমি অফিস, মানুষের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি- বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন,নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে নস্যাৎ করতে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী।একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা,হাসপাতালে হামলা, এ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ,প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও লাগাতারভাবে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, পলাতক আসামী,খুনি তারেক রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে রায় দেবে বাংলার জনগণ।
তিনি বলেন, বাংলার জনগণ ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতির রূপকার সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বাংলার জনগণ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামকে অব্যাহত রাখবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন কল্লোল, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড.গোলাম মাওলা তপন, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক মোর্শেদা বেগম লিপি, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ ও পঞ্চসার ইউপি সদস্য জাহিদ হাসান প্রমুখ।