মোঃ সুমন হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কার্তিক ও অগ্রহায়ণ দুই মাস ঋতুটির ব্যাপ্তি। শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা, কাশফুল ও স্নিগ্ধ নরম হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে হিম কুয়াশার চাদর নিয়ে আসে হেমন্ত।শেষ রাতে ভর করে শীতলতা। ভোরের আলো ছড়ানোর পর শিশির বিন্দু করার টুপটাপ শব্দ আর মৃদু হিম বাতাস জানান দেয় ঋতু পরিবর্তনের এ খবর। তাই নতুন আবহ তৈরি হয় এ সময়টাতে।আর বাংলার প্রকৃতি জুড়েই যখন পালা বদলের এমন ঘনঘটা। কালের পাখায় ভর করে আসা হেমন্তের এই শিশির স্নাত প্রহরে তাই এখন শীতের আমেজ উপভোগ করতে শুরু করেছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে শীত কে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি।ঋতু পরিক্রমায় শীত আসতে এখনও এক মাস বাকি থাকলে ও এখনই পাওয়া যাচ্ছে এর আমেজ। এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির দোকান গুলোতে গ্রহকদের আনাগোনা চোখে পরছে। শীত আসার আগেই দোকান গুলোতে এখন অতিরিক্ত কারিগর কাজ করছে, তৈরি করে চলেছেন লেপ-তোষক। লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা এই কয়েকদিন আগেও দোকানে কাজ ছিল না বলে জানান।রিকাবী বাজারের শীতল বেডিং স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এত দিন শিশুদের জন্য বালিশ, পাশ বালিশ আর সোফা সেটের জন্য নারকেলের ছোবড়া বিক্রি করে কোনো রকমে দোকানের খরচ চালাতে হয়ছে। এখন দোকানে লেপ ও তোষকের অর্ডার মিলেছে বলে জানান।লেপ তোষক ও লেপের স্বভার সহ অন্য জিনিসপত্র তৈরির অর্ডার পাচ্ছি লেপ তোষকের দাম কেমন যানতে চাইলে দোকান মালিক বলেন গত বৎসরের তুলনামূলক একটু বেশি অপর ব্যাবসায়ি ফারুক বলেন, দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশিই তুলা-ও কাপড়ের দাম এবং কর্মচারীদের খরচ আগের চাইতে কিছুটা বেশি।ভাবল লেপ ১৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা এবং সিঙ্গেল লেপ ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
সিঙ্গেল তোষক তৈরি করে দেওয়া হয়েছ ১১০০ থেকে ১২৫০ এবং ভাবল ১৭৫০ টাকা পর্যন্ত, কারিগরা প্রতিটি লেপ তোষক সেলাইএর মজুরী পাচ্ছে ১৫০ টাকা।পৌষ মাস আসলে ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে,নতুন লেপ তৈরির পাশাপাশি পুরাতন গুলো ভেঙে নতুন ভাবে তৈরির অর্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে।এর জন্য শিমুল তুলার চেয়ে গার্মেন্টসের ফ্রুট থেকে আশা তুলা দিয়ে তৈরি লেপই বেশি বিক্রিই হচ্ছে বলে জানান ফরাদ হোসেন। একটি লেপ তৈরিতে সর্বোচ্চ দুই হতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। লেপ-তোষক কারিগর হাবিবুর রহমান ও জালাল উদ্দিন বলেন, একজন কারিগর দিনে গড়ে ৫/৬ টি লেপ এবং
৫ থেকে ৬ টি তোষক তৈরি করতেপারে,লেপ-তোষক তৈরিতে প্রায় একই সময় লাগে। তুলা ধুনা, মাপ মত কাপড় কেটে সেলাই করে, তুলা ভরে তা দিয়ে লেপ-তোষক-বালিশ তৈরির কাজ হয় একই নিয়মে সকল লেপ-তোষকের দোকানে।