মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে ধর্ষণ মামলা দিয়ে প্রতিবেশীকে ফাসাঁতে গিয়ে নিজেই ফেসেঁ গেছেন এক নারী। নারী শিশু মামলা নং-৫/২১ মামলায় মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে অভিযুক্ত নারী বীনা বেগম আজ মঙ্গলবার( ২১ নভেম্বর)দুপুরে মুন্সীগঞ্জ নারী ও শিশু ট্রাইব্রুন্যালে আত্নসমার্পন করলে ওই আদালতের বিচারক ফাইজুন্নেছা ওই নারীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, মুন্সীগঞ্জে টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার দক্ষিন বেতকা গ্রামের এসহাক বাগজার স্ত্রী অভিযুক্ত বীনা বেগম তার স্বামী বাড়িতে না থাকা অবস্থায় তার প্রতিবেশী শহিদ বাগজা (৫৫), মনির ফকির (৩৫) তাকে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে তাকে ভয়ভীতি দেখিয় জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে বিগত ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে টংঙ্গীবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই মামলায় বাদি বীনা বেগম ও প্রতিবেশী আসামী শহিদ বাগজা ও মনির বাগজার ডিএনএ টেস্ট করলে ওই ডাক্তারি পরিক্ষায় ধষর্নের বিষয়টি প্রমানিত না হওয়ায় উক্ত মামলাটি টংঙ্গীবাড়ী থানা হতে অভিযুক্তদের অব্যহতি দিয়ে ফাইনাল রির্পোট দেয়। পরে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী শহিদ বাগজা বাদি হয়ে মুন্সীগঞ্জ নারী ও শিশু ট্রাইব্রুন্যালে বীনা বেগম ও তার স্বামী এসহাক বাগজা ও তার দেবর মো: আলি মিয়া বাগজার বিরুদ্ধে গত ২১ মে ২০২৩ তারিখে মামলা দায়ের করলে ওই মামলাটি টংঙ্গীবাড়ী থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহন করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
ওই মামলায় এর আগে এসহাক বাগজাকে গ্রেফতার করে পুুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের নির্দেশে এসহাক বাগজা কারাগারে রয়েছে। পরে অপর অভিযুক্ত নারী বীনা বেগম আজ মঙ্গলবার আদালতে আত্নসমার্পন করে জামিন চাইলে তাকেও কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্রুন্যালের বেঞ্চ সহকারী শহিদুল ইসলাম।
এ ব্যপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামালউদ্দিন বলেন, মিথ্যা ধর্ষন মামলা প্রমানিত না হওয়ায় মিথ্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নারী শিশু আইনে ১৭ ধারার বিধান মতে মিথ্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় এক নারীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।