ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা ময়লার স্তুপের কারণে পরিবেশ দূষণের ফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দম বন্ধ করা অবস্থায় রীতিমতো নাভিশ্বাস ও চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।
নির্দিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্টেশন বা জায়গা না থাকায় স্থানীয় বাসাবাড়ি, কারখানার বর্জ্য ও বাজারের ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে যা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মহাসড়কের উপরে এসে পড়ে। আর ওই বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীরা। আর দীর্ঘ এই ময়লার স্তুপের কারণে সরু হয়ে পড়েছে মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের রাস্তা। এত কিছুর পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোন কার্যকরি পদক্ষেপ। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পৌর সদরে সরকারি কলেজের পশ্চিমে, হাজির বাজার, মেহেরাবাড়ী, সিডস্টোর উত্তর বাজার, এমএল ডায়িং এর সামনে, আমতলী ও মায়ের মসজিদ সংলগ্ন এসএমসি স্যালাইন ফ্যাক্টরি উত্তর পাশের খালের পাড়ে মহাসড়কের উভয় পাশে ময়লার বিশাল স্তুপ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসের পর মাস ময়লার স্তুপ জমলেও সরানো হয় না সেখান থেকে। ওই স্থানগুলোতে অতিমাত্রার ঝাঁঝালো দূর্গন্ধের কারণে দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্টকর। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্রকট দূর্গন্ধযুক্ত পানি তখন ছড়িয়ে পড়ে মহাসড়কসহ আশপাশের বাসা-বাড়িতে। ঐসব বর্জ্য অপসারণে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা না থাকায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এসএমসি এলাকার বর্জ্যের স্তুপের তিনশ মিটা উত্তরে দাখিল মাদরাসা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ রয়েছে, এছাড়াও দক্ষিণে পাশে রয়েছে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। আবর্জনার দূর্গন্ধে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ ও পথচারীদের ভোগান্তি সীমাহীন। দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে এমন দূর্ভোগ ও ভোগান্তি দেখেও তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সড়ক ও জনপথ ভালুকা উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ মোফাখখারুল ইসলাম তুহিন জানান, মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে এটা খুবই ক্ষতিকর, এক দেড় মাস আগে মামলা করেছি পুলিশতো কোন ভূমিকাই নেয়না, যেখানে পুলিশ পারছে না, সেখানে আমরা কিভাবে কি করবো? এলাকার মানুষ মুখ খোলেনা, আমাদের ধারনা এসবের সাথে বড় বড় নেতা জড়িত আছে। ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম জনান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদুল আহমেদ জানান, আমরা স্পর্ট নির্ধারন করেছি, সংসদ নির্বাচনের পরে স্থায়ীভাবে ডাম্পিং স্টেশন করবো।